সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না বলেছেন, শেখ হাসিনা রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার। তিনি নিপীড়িতদের পক্ষে কথা বলার নীতিতে অটল থাকবেন, তা যার পক্ষেই হোক।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরীর জামিন স্থগিত বিষয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে গণহত্যার অভিযোগে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াই চালানোর ইচ্ছার কথাও জানান।
জেড আই খান পান্না বলেন, “যদি সুযোগ পাই, আমি শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়াব।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আগে ছিল গণগ্রেফতার, এখন চলছে গণমামলার যুগ। একই ধরনের স্ক্রিপ্টে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হচ্ছে। এটি অকল্পনীয় এবং বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় এমন নজির আগে দেখা যায়নি।”
বিচারিক প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “একের পর এক মামলা হচ্ছে, যেখানে অভিযুক্তরা গুরুতর শারীরিক ক্ষতির শিকার বলে অভিযোগ উঠছে। অথচ প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে জেড আই খান পান্না বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি একটি বক্তব্যে বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারে অঙ্গীকারবদ্ধ না হয়, তবে নির্বাচন আয়োজনের পর তিনি সরে দাঁড়াবেন। তার অভিমান বা আক্ষেপের সুরেই হোক, বাস্তবতা এটাই যে, অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র দায়িত্ব হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আমাদের শাসন ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার এবং একটি কার্যকর নির্বাচন পদ্ধতির প্রয়োজন।”
জেড আই খান পান্নার এই মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।