গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবের আহমদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সীমান্ত চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহীন।
সম্প্রতি সিলেট জেলা যুবদলের কাছে দেওয়া এক লিখিত আবেদনে এসএম শাহীন অভিযোগ করেন, জুবের আহমদ দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত চোরাচালানের লাইনম্যান হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার পরিবার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছে এবং তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের সহযোগিতায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সাবেক আওয়ামী লীগ এমপি ইমরানের সহযোগিতায় জুবেরের পরিবারের সদস্যরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও মামলার মাধ্যমে হয়রানি করেছে। এমনকি জুবের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপি ও যুবদলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় দলীয় ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জুবেরের বিরুদ্ধে সীমান্ত চোরাচালানের মামলার তথ্য উল্লেখ করে অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ১১ মে সিলেট র্যাবের এসআই মনসুর হাল্লাজ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে সীমান্ত চোরাচালানের মামলা করেন।
পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের নেতারা অভিযোগ করেছেন, জুবের দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা দলের জন্য বিব্রতকর।
এসএম শাহীন আরও জানান, ৫ আগস্টের ঘটনার পর জুবের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি পালন করায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এতে দলের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে জুবের আহমদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দলীয় নেতারা।