ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান: জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সিলেট সমাবেশ সফল করার আহ্বান

সিলেট জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ উত্তর, দক্ষিণ, ও মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে আগামী ২৩ নভেম্বর ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশ সফল করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।

জমিয়তের ঐতিহাসিক ভূমিকা তুলে ধরা

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট জেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, “ভারতীয় উপমহাদেশে ১৯১৯ সাল থেকে জমিয়ত ধর্ম, রাজনীতি ও সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। শায়খুল ইসলাম হোসাইন আহমদ মাদানীর (রাহ.) নেতৃত্বে জমিয়ত যে সংগ্রাম করেছে, তা আজও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাসঙ্গিক। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেও জমিয়তের কর্মীরা সাহসী ভূমিকা রেখেছে। আন্দোলনে অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন, কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।”

বিপ্লবের চেতনা ধরে রাখার আহ্বান

মাওলানা মুজিবুর রহমান বলেন, “জুলাই-আগস্টের রক্তাক্ত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জাতি দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু এখন ২৪-এর পরাজিত শক্তি নানা ষড়যন্ত্র করছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু কর্মকাণ্ডও আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে। ইনসাফ প্রতিষ্ঠা না হলে বিপ্লবের চেতনা ব্যর্থ হবে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

তিনি আরও বলেন, “জাতির প্রত্যাশা পূরণে বৈষম্যহীন একটি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা বিপ্লবকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করবে, জাতি তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।”

সমাবেশের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা

সংবাদ সম্মেলনে জমিয়তের নেতারা সমাবেশ সফল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। সমাপনী বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট জেলা উত্তর সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান।

উপস্থিত ব্যক্তিত্ব ও অতিথি বক্তারা

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা নুর আহমদ কাসিমী, সিলেট মহানগরের সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। নেতারা আশা প্রকাশ করেন, সমাবেশে জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সিলেট বিভাগের বিশিষ্ট উলামায়ে কেরাম বক্তব্য দেবেন।

সমাবেশের মূল বার্তা

২৩ নভেম্বরের সমাবেশে ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি আরও জোরালো হবে বলে জমিয়তের নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। জাতির স্বার্থে বৈষম্য দূর করে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে তারা সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।